পেওনিয়ার একাউন্ট খোলার নিয়ম বাংলাদেশ এবং নতুন নিয়মে Payoneer এ্যাকাউন্ট খুলুন নিজেই
উপরে টাইটেল দেখে বুঝতে পেরেছেন আজকে আমরা পেওনিয়ার একাউন্ট খোলার সঠিক নিয়ম এবং কিভাবে সহজেই পেওনিয়ার একাউন্ট খুলবেন ইত্যাদি বিষয় স্টেপ বাই স্টেপ আলোচনা করতে যাচ্ছি। এছাড়া আজকে আমরা পেওনিয়ার একাউন্ট কি ; পেওনিয়ার কিভাবে কাজ করে ; পেওনিয়ার একাউন্ট খোলার যোগ্যতা ; পেওনিয়ার একাউন্টের সুবিধা ও অসুবিধা এবং পেওনিয়ার একাউন্ট খোলার নিয়ম বাংলাদেশ সম্পর্কে জানতে পারবেন।
পেওনিয়ার কি? What is Payoneer?
পেওনিয়ার হচ্ছে বর্তমানে নতুন বিশ্ব অর্থনীতির বাজারে ব্যবসায়িক লেনদেন করার একটি সহজ মাধ্যম। পেওনিয়ার মাধ্যমে মাল্টি কারেন্সি একাউন্টে অর্থ গ্রহণ, অর্থ প্রদান এবং আপনার সকল প্রকার ব্যবসায়িক লেনদেনের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী প্রসারের প্রয়োজনীয় যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। বিশেষ করে যারা অনলাইনে বিশ্ব মার্কেটপ্লেস অনলাইনে কাজ করেন তাদের জন্য পেনিয়ার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
পূর্বে পেপালের ব্যবহার বেশি ছিল কিন্তু বর্তমানে পেপালের পরপরই পেওনিয়ার এর ব্যবহার দিন দিন বেড়েই চলেছে। এছাড়া প্রেরনের একাউন্ট থাকলে আপনি বিনামূল্যে মাস্টার কার্ড তুলে এবং সেখান থেকে টাকা তুলতে পারবেন। এছাড়া বিশ্ববাজারে google, amazon এবং ফাইবারের মতো বড় বড় মার্কেটপ্লেস থেকে পেমেন্ট মেথড হিসেবে পেওনিয়ার এর ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
পেওনিয়ার একাউন্ট হচ্ছে ভার্চুয়াল ব্যাংকের মত। একে ইন্টারন্যাশনাল ব্যাংক বলা যায়। যাইহোক আপনি যদি পেওনিয়ার একাউন্ট সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে নিম্নে বিস্তারিত দেখে নিন।
পেওনিয়ার একাউন্ট খোলার সুবিধা সমূহ
বর্তমানে পেওনিয়ার একাউন্ট থাকলে অনেক সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। তবে কিছু উল্লেখযোগ্য পেওনিয়ার এর সুবিধা তুলে ধরা হলো।
১। পেওনিয়ার এর মাধ্যমে খুব কম সময়ের মধ্যে পেমেন্ট রিসিভ করতে পারবেন।
২। পেওনিয়ার এর রয়েছে ২০০টির অধিক দেশের ১৫০ টি লোকাল কারেন্সি সাপোর্ট ব্যবস্থা।
৩। পেওনিয়ার একাউন্ট থাকলে ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে সরাসরি টাকা উইড্রো করতে পারবেন।
৪। সহজেই মানি ট্রান্সফার করতে পারবেন মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে। আপনি চাইলে অ্যাপস এর মাধ্যমে সহজেই মানি ট্রান্সফার করতে পারেন।
৫। Google, Upwork, Fiver এবং বিশ্ব মার্কেটপ্লেসের বড় বড় কোম্পানি থেকে পেমেন্ট নিতে পারবেন খুব সহজে।
৬। পেওনিয়ার একাউন্ট এর একাউন্ট এর মধ্যে ফ্রি গ্লোবাল পেমেন্ট রয়েছে।
৭। পেউনিয়ার টু পেওনিয়ার ট্রানজাকশনে কোন বাড়তি চার্জ নেই।
৮। ই চেক এর মাধ্যমে পেমেন্ট ব্যবস্থা এবং সার্বক্ষণিক কাস্টমার সাপোর্ট রয়েছে।
৯। সহজ এবং দ্রুত অ্যাকাউন্ট খোলার প্রক্রিয়া।
১০। বিভিন্ন মুদ্রায় পেমেন্ট গ্রহণের ক্ষমতা
পেওনিয়ার একাউন্ট এর কিছু অসুবিধা সমূহ
পেওনিয়ার থেকে বাংলাদেশের টাকা আনার ক্ষেত্রে কনভার্সন রেট তুলনামূলক কম পাওয়া যায়। এছাড়া পেওনিয়ার থেকে টাকা উইথড্র করার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট পরিমাণ চার্জ কেটে নেয় যা তুলনামূলক বেশি। এছাড়া পেনিয়ার একাউন্টে আপনি নিজের ব্যাংক অথবা ব্যক্তিগত আর্থিক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা লোড করতে পারবেন না। পেওনিয়ার ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটপ্লেসে ব্যবহার করতে পারবেন। পেওনিয়ার একাউন্টের কিছু সীমাবদ্ধতা ও রয়েছে। ন্যূনতম উত্তোলন সীমা এবং কিছু মার্কেটপ্লেস থেকে পেমেন্ট গ্রহণে সীমাবদ্ধতা রয়েছে।
কারা পেওনিয়ার একাউন্ট খুলতে পারবে এবং পেওনিয়ার নিয়োগ একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে
পেওনিয়ার একাউন্ট খুলতে হলে আপনাকে অবশ্যই কিছু শর্ত মেনে পেওনিয়ার একাউন্ট খুলতে হবে। পেওনিয়ার একাউন্ট খুলতে গেলে অবশ্যই আপনাকে বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। এবং অবশ্যই আপনার হবে পেওনিয়ার একাউন্ট ভেরিফাই করার জন্য।
পেওনিয়ার একাউন্ট খোলার জন্য দুটি প্রকারের একাউন্ট সিস্টেম রয়েছে –
১. ব্যক্তিগত পেওনিয়ার একাউন্ট
২. কোম্পানি পেওনিয়ার একাউন্ট।
যদি আপনি ব্যক্তিগত একাউন্ট খুলতে চান, তাদের জন্য আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট অথবা ড্রাইভিং লাইসেন্সের যে কোন একটির তথ্য এবং একটি ব্যাংক একাউন্টের তথ্য প্রদান করতে হবে। আর যদি আপনি কোম্পানি একাউন্ট খুলতে ইচ্ছুক, তাদের জন্য আপনার প্রতিষ্ঠানের ট্রেড লাইসেন্স এবং ইনকাম ট্যাক্সের তথ্য প্রদান করতে হবে। পেওনিয়ার একাউন্ট খোলার জন্য আপনাকে কিছু ধাপ অনুসরণ করতে হবে।
পেওনিয়ার একাউন্ট খোলার নিয়ম বাংলাদেশ
পেওনিয়ার একাউন্ট খোলার জন্য আপনি আপনার মোবাইল বা কম্পিউটার ব্যবহার করে প্রথমে পেওনিয়ার ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে হবে। এরপরে, নীচের ধাপগুলি অনুসরণ করুন:
১। রেজিস্টার অপশনে প্রবেশ করুন:
হোম পেজে, একটি ইন্টারফেস দেখতে পাবেন যেটি ছবির মতো থাকতে পারে। পেজের ডান দিকে, উপরের ট্রান্সলেট অপশন থেকে আপনি বাংলা এবং ইংরেজি সহ অন্যান্য ভাষায় প্রদর্শন করতে পারবেন। এখান থেকে “রেজিস্টার” লেখাতে ক্লিক করুন।
২। প্রয়োজনীয় একাউন্ট অপশন বাছাই করুন
এই ধাপে, আপনি আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী সঠিক একাউন্ট খোঁজতে পারেন। এখানে ৫ টি অপশন পাবেন, যেমন:
- ফ্রিল্যান্সার বা এসএমবি (Freelancer or SMB):
ফ্রিল্যান্সিং পেমেন্ট গ্রহণ ও প্রদানের জন্য।
- অনলাইন সেলার (Online Seller):
অনলাইনে সেলার হিসেবে অর্থ লেনদেন।
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার (Affiliate Marketer):
অ্যাফিলিয়েট পণ্য বিক্রি-কমিশন পেমেন্ট পেতে।
- ভ্যাকেশন রেন্টাল হোস্ট (Vacation Rental Host):
ভ্যাকেশন ট্যুরিস্ট গাইডের অর্থ লেনদেনে।
- আন্তঃব্যক্তিক (Individual):
দৈনন্দিন প্রয়োজনে অনলাইন পেমেন্ট মাধ্যম হিসেবে।
আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী ১টি অপশন নির্বাচন করুন এবং একাউন্ট রেজিস্টার করুন ।
৩। ব্যবসায়ের ধরন ও নিবন্ধনকারীর প্রাথমিক তথ্য পূরণ করুন
এই ধাপে, আপনি আপনার ব্যবসার ধরন এবং নিবন্ধনকারীর প্রাথমিক তথ্য পূরণ করতে হবে।
- প্রথমে, ‘সিলেক্ট ইউর টাইপ অব বিজনেস’ অপশনে – কোম্পানি প্রতিষ্ঠান বা অন্য কোন কাজের জন্য ইন্ডিভিজুয়াল (Individual) সিলেক্ট করুন।
- তারপর, ইংরেজি অক্ষরে আপনার নামের প্রথম অংশ (First name), নামের শেষ অংশ (Last name), ইমেইল এড্রেস (Email address), এবং আবার ইমেইল এড্রেস পূনরায় প্রদান করুন (Re-enter email address)। এরপর, রেজিস্টার করা হওয়ার জন্ম তারিখ (Date of birth) দিন।
- সর্বশেষে, ‘নেক্সট’ (Next) বাটনে ক্লিক করুন।
৪। কন্টাক্ট ডিটেইলস পূরণ করুন
- এই ধাপে, আপনি আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী কন্টাক্ট ডিটেইলস পূরণ করতে হবে। দেশ (Country) সড়ক, এলাকা, এবং জেলার ঠিকানা, শহর (City/Town), এবং পোস্ট/জিপ কোড (Post/ZIP Code) লিখুন।
- তারপর, কান্ট্রি কোড (+880) সিলেক্ট করে আপনার সচল মোবাইল নাম্বার দিন। নিচের ঘরে ‘সেন্ড কোড’ (Send Code) লেখাতে ক্লিক করুন। সেই নাম্বারে ৬ সংখ্যার ভেরিফিকেশন কোড পাবেন।
- তা লিখে ‘নেক্সট’ (Next) বাটনে ক্লিক করুন।
৫। সিকিউরিটি ডিটেইলস পূরণ করুন
এই পৃষ্ঠায়, আপনার একাউন্টের নিরাপত্তা জন্য তথ্য প্রদান করতে হবে।
- প্রথমে, ‘ইউজারনেম’ (Username) অপশনে আপনার ইমেইল ঠিকানা দেখাবে,
- এবং প্রয়োজনে তা পরিবর্তন করতে পারবেন। ‘এন্টার পাসওয়ার্ড’ (Enter password) অপশনে, একটি শক্তিশালী এবং কঠিন পাসওয়ার্ড প্রদান করুন,
- এবং পরবর্তী ঘরে এটি পুনরায় লেখুন।
- একটি ‘নিরাপত্তা প্রশ্ন’ (Security Question) চয়ন করুন এবং এর উত্তরটি নিচের ঘরে লেখুন (একাউন্ট পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে অথবা ডিএক্টিভেট হলে মালিকানা নিশ্চিত করতে এটি জিজ্ঞাসিত হবে)।
- ‘আইডি ডিটেলস’ (ID Details) অপশনে, ‘বাংলাদেশ’ হতে ‘জাতীয়তা’ চয়ন করুন।
- ‘আইডি টাইপ’ (ID type) চয়ন করুন (এনআইডি কার্ড/ পাসপোর্ট/ ড্রাইভিং লাইসেন্স) এবং আইডি নম্বরটি লিখুন। এখন ‘নেক্সট’ (Next) বাটনে ক্লিক করুন।
৬। একাউন্ট পেমেন্ট এবং ব্যাংকিং তথ্য প্রদান করুন
এখন, অর্থ লেনদেনের জন্য আপনার ব্যাংকিং তথ্য প্রদান করতে হবে। আপনি কোন ব্যাংক একাউন্ট ব্যবহার করতে চান, তা সিলেক্ট করুন – পার্সোনাল একাউন্ট (Personal Account) না বিজনেস একাউন্ট (Business Account)। তারপর, ধারাবাহিকভাবে নিচের তথ্যগুলি প্রদান করুন:
- ব্যাংকের অবস্থানের দেশের নাম
- কারেন্সি (Currency)
- ব্যাংকের নাম
- ব্যাংকের শাখার নাম
- হিসাবধারির নাম (Account Holder Name)
- একাউন্ট নাম্বার (Account Number)
৭। পেওনিয়ার একাউন্ট সম্পন্ন করার শেষ ধাপ:
- প্রথমে, টার্মস এন্ড কন্ডিশন এবং প্রাইভেসি অ্যান্ড কুকি পলিসির শর্তাবলী মেনে নেওয়ার জন্য আই এগ্রি বক্সে ক্লিক করুন।
- তারপর, প্রাইজিং এন্ড ফিস পৃষ্ঠায়, পেওনিয়ার একাউন্ট খোলার জন্য প্রযোজ্য ফি এবং চার্জের শর্তাবলী মেনে নেওয়ার জন্য আই এগ্রি বক্সে ক্লিক করুন।
- অবশেষে, সাবমিট বাটনে ক্লিক করে পেওনিয়ার একাউন্ট সম্পন্ন করুন।
উপরোক্ত নিয়মে সহজেই বাংলাদেশ থেকে পেওনিয়ার একাউন্ট খুলতে পারবেন।
পেওনিয়ার একাউন্ট অনুমোদন এবং ভেরিফাই
পেওনিয়ার একাউন্ট রেজিস্টার করার পর এটি অনুমোদন হতে প্রায় ৩ কার্যদিবস সময় নেয়। একাউন্ট অনুমোদন হওয়ার আগে লেনদেন করা যায় না। তাই দ্রুততমে পেওনিয়ার একাউন্ট অনুমোদন এবং ভেরিফাই করার জন্য ভেরিফিকেশন ডকুমেন্ট জমা দিতে হবে।
এটির জন্য, আপনি রেজিস্টার করা পেওনিয়ার একাউন্টে ইমেইল এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে সাইন ইন করুন। তারপর-
- ড্যাশবোর্ডের সেটিংস অপশন থেকে ভেরিফিকেশন সেন্টার (Verification Center) অপশনে যান।
- এবার রেজিস্টারকারীর এনআইডি কার্ড/ পাসপোর্ট/ ড্রাইভিং লাইসেন্স এর ছবি বা স্ক্যান কপি আপলোড করুন।
- ব্যাংক একাউন্ট যাচাইয়ের জন্যও একাউন্টের ডকুমেন্ট আপলোড করতে পারেন।(ঐচ্ছিক)
- ডকুমেন্টগুলো অবশ্যই জেপিজি (JPG), পিএনজি (PNG), পিডিএফ (PDF), জিআইএফ (GIF) ফরম্যাটে আপলোড করতে হবে।
- ডকুমেন্টস সাইজ ৩ এমবি এর কম হবে।
- ডকুমেন্টগুলো অবশ্যই ভেলিড (Valid) ও স্পষ্ট হতে হবে।
- ডকুমেন্টগুলো আপলোড করে সাবমিট (Submit) বাটনে ক্লিক করুন। সাবমিট হওয়ার পর “ডকুমেন্ট আপলোডেড সাকসেসফুলি (Document Uploaded Successfully)” লেখা একটি পপ-আপ মেসেজ দেখতে পাবেন।
পেওনিয়ার নিয়ে শেষ কথা
পেওনিয়ার ফ্রিল্যান্সার এবং অনলাইন ব্যবসায়ীদের জন্য আশার আলো পেওনিয়ার একটি আন্তর্জাতিক পেমেন্ট সার্ভিস যা বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সার এবং অনলাইন ব্যবসায়ীদের জন্য একটি সহজ এবং সুবিধাজনক উপায়ে আন্তর্জাতিক পেমেন্ট গ্রহণ করতে দেয়। পেওনিয়ারের কিছু সীমাবদ্ধতা থাকলেও, এটি বাংলাদেশের এই সম্প্রদায়ের জন্য একটি মূল্যবান সম্পদ। পেওনিয়ারের মাধ্যমে, ফ্রিল্যান্সাররা তাদের মার্কেটপ্লেস থেকে সরাসরি তাদের পেমেন্ট পেতে পারেন। এটি তাদের অর্থ প্রদানের জন্য দীর্ঘ এবং জটিল প্রক্রিয়াগুলি এড়াতে দেয়। পেওনিয়ার অ্যাফিলিয়েট মার্কেটারদেরও তাদের আয় সহজেই এবং দ্রুত উত্তোলন করতে দেয়।
পেওনিয়ার সম্পর্কিত কিছু গুরুত্তপুর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর
১। পেওনিয়ার একাউন্ট কিভাবে খুলবো?
পেওনিয়ার একাউন্ট খোলার নিয়ম বাংলাদেশ স্টেপ বাই স্টেপ উপরে দেখানো হয়েছে। আশা করি উপরের আলোচনা পড়লে আপনি নিজেই পেওনিয়ার একাউন্ট খুলতে পারবেন।
২। পেওনিয়ার একাউন্ট খুলতে কি টাকা লাগে?
না, পেওনিয়ার একাউন্ট খুলতে কোন ফি বা প্রাথমিক ডিপোজিট লাগে না। আপনি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে একটি পেওনিয়ার একাউন্ট খুলতে পারেন।
৩। পেওনিয়ার মাস্টার কার্ডের জন্য আবেদন করবো কিভাবে?
পেওনিয়ার মাস্টার কার্ডের জন্য আবেদন করতে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করুন:
- পেওনিয়ার ওয়েবসাইটে আপনার একাউন্টে লগ ইন করুন।
- ড্যাশবোর্ডের উপরে বাম দিকের থ্রি লাইন মেনুতে ক্লিক করুন।
- “ব্যাংকস এন্ড কার্ড” অপশনে ক্লিক করুন।
- “পেওনিয়ার কার্ড” অপশনে ক্লিক করুন।
- আপনার কার্ডের জন্য পছন্দসই মুদ্রা এবং শিপিং ঠিকানা নির্বাচন করুন।
- “সাবমিট” বোতামে ক্লিক করুন।
৪। পেওনিয়ার মাস্টার কার্ডের দাম কত?
পেওনিয়ার মাস্টার কার্ড পেওনিয়ার একাউন্ট হোল্ডারদের জন্য বিনামূল্যে প্রদান করা হয়। তবে এটি ব্যবহার করলে বার্ষিক ২৯.৯৫ ডলার ফি কাটা হয়।
৫। পেওনিয়ারের ট্রানজেকশন চার্জ কত?
পেওনিয়ারের ট্রানজেকশন চার্জগুলি নিম্নরূপ:
- পেওনিয়ার ব্যাংক ডেবিট লেনদেনের জন্য ১%।
- পেওনিয়ার থেকে ব্যাংক একাউন্টে তহবিল স্থানান্তর করতে ১.৫ ডলার।
- পেওনিয়ার টু পেওনিয়ার ফান্ড ট্রান্সফার করতে ০%।
- অ-স্থানীয় মুদ্রা স্থানান্তর করতে ২% চার্জ কাটা হয়।