রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র সাধারণ জ্ঞান ২০২৪
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র সাধারণ জ্ঞান
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র সাধারণ জ্ঞান ২০২৪ | রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অনুচ্ছেদ
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যথাক্রমে ৩০ নভেম্বর ২০১৭ ও ১৪ জুলাই ২০১৮-এ বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ও দ্বিতীয় ইউনিটের প্রথম কংক্রিট ঢালাইয়ের শুভ উদ্বোধন করেন। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বে ৩৩তম দেশ হিসেবে নিউক্লিয়ার ক্লাবের সদস্য হয়েছে। ঠিকাদার হিসেবে রাশান ফেডারেশনের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নিমার্ণকারী প্রতিষ্ঠান এটমস্ট্রয়এক্সপোর্টের সাথে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের সম্পাদিত General Contract-এর আওতায় বর্তমানে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মূল ভৌত অবকাঠামো নির্মাণের কাজ এবং রিঅ্যাক্টর, টারবাইন ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ইকুইপমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের কাজ চলছে। এগুলোকে লংটার্ম ম্যানুফ্যাকচারিং ইকুইপমেন্ট বা এলটিএমই বলে। তৈরিতে অনেক সময় লাগে বলে এমন নাম। ইতোমধ্যে প্রথম ইউনিটের ফাউন্ডেশনের কংক্রিট ঢালাইয়ের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে সুপার স্ট্রাকচারের কংক্রিট ঢালাইয়ের কাজ চলছে।
অপরদিকে প্রথম ইউনিটের নিউক্লিয়ার রিঅ্যাক্টর ভেসেলের Molten Core Catcher রূপপুর এসে পৌঁছেছে। আশা করা যায় যে ২০২৩ সালের মধ্যে এ বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রথম ইউনিট থেকে ১২০০ মেগাওয়াট এবং ২০২৪ সালের মধ্যে দ্বিতীয় ইউনিট থেকে আরও ১২০০ মেগাওয়াট-মোট ২৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে।
আরও পড়ুন
বাংলাদেশের খেলাধুলা বিষয়ক সাধারণ জ্ঞান
পদ্মা সেতু সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান
সাম্প্রতিক সাধারণ জ্ঞান ২০২৪ বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক
বাংলাদেশ সম্পর্কিত ১৫০টি গুরুত্বপূর্ন সাধারণ জ্ঞান ২০২৪
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র সাধারণ জ্ঞান ২০২৪
১। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র কোন দেশের সহযোগিতায় নির্মিত হচ্ছে?
উত্তর: রাশিয়ার রোসাটম কর্পোরেশনের সহযোগিতায়।
২। বাংলাদেশে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র কোথায় অবস্থিত?
উত্তর: বাগেরহাট জেলার রূপপুরে।
৩। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মূল উদ্দেশ্য কী?
উত্তর: বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ঘাটতি পূরণ করা এবং দেশের শিল্পায়নকে ত্বরান্বিত করা।
৪। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কতটি রিঅ্যাক্টর নির্মিত হবে?
উত্তর: দুটি।
৫। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ কখন শুরু হয়েছিল?
উত্তর: ২০১৭ সালের নভেম্বর মাসে।
৬। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে কত মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে?
উত্তর: প্রতিটি রিঅ্যাক্টর থেকে ১২০০ মেগাওয়াট, অর্থাৎ মোট ২৪০০ মেগাওয়াট।
৭। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মাণ ব্যয় কত?
উত্তর: প্রায় ১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
৮। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মাণে কোন ধরনের পারমাণবিক রিঅ্যাক্টর ব্যবহার করা হচ্ছে?
উত্তর: ভিভিইআর-১২০০ ধরনের।
৯। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিরাপত্তা ব্যবস্থা কেমন?
উত্তর: আন্তর্জাতিক মানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
১০। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উদ্বোধন কখন হবে বলে আশা করা হচ্ছে?
উত্তর: ২০১৯ সালে নির্মাণ শুরু হওয়া সত্ত্বেও, বিভিন্ন কারণে উদ্বোধনের তারিখ এখনও নিশ্চিত করা যায়নি। তবে আশা করা হচ্ছে, আগামী কয়েক বছরের মধ্যে উদ্বোধন করা হবে।
১১। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র কোন মন্ত্রণালয়ের অধীনে?
বাংলাদেশে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দায়িত্ব সাধারণত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এর অধীনে থাকে। এই মন্ত্রণালয় দেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতের উন্নয়ন এবং নতুন প্রযুক্তিগত প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্বে থাকে।
১২। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মেয়াদ কত বছর?
একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মেয়াদ সাধারণত ৪০-৬০ বছর। তবে, নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ এবং আধুনিকীকরণের মাধ্যমে এই মেয়াদ আরও বাড়ানো সম্ভব। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ক্ষেত্রেও একই ধরনের মেয়াদ বিবেচিত হবে।
প্রশ্ন ১৩: রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র কোথায় অবস্থিত?উত্তর: পাবনা।
প্রশ্ন ১৪: রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মোট ক্ষমতা কত?উত্তর: ২.৪ গিগাওয়াট।
প্রশ্ন ১৫: বাংলাদেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র কোনটি?উত্তর: রূপপুর।
প্রশ্ন ১৬: রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিট কবে কার্যক্রম শুরু করবে?উত্তর: ২০২৪ সালে।
প্রশ্ন ১৭: রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে কোন দেশ সহযোগিতা করেছে?উত্তর: রাশিয়া।
প্রশ্ন ১৮: রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণকারী কোম্পানি কোনটি?উত্তর: রোসাটম।
প্রশ্ন ১৯: রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিট কত সালে কার্যক্রম শুরু করবে?উত্তর: ২০২৪ সালে।
প্রশ্ন ২০: রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র কোন জেলার অধীনে?উত্তর: পাবনা।
প্রশ্ন ২১: রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মোট ক্ষমতা কত মেগাওয়াট?উত্তর: ২৪০০ মেগাওয়াট।
প্রশ্ন ২২: রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র কোন উপজেলায় অবস্থিত?উত্তর: ঈশ্বরদী।
২৩। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র কত মেগাওয়াট?
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মোট ক্ষমতা হল ২৪০০ মেগাওয়াট। এই ক্ষমতা দুটি ইউনিট থেকে আসে, প্রতিটি ইউনিট থেকে ১২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়।
২৪। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র উদ্বোধন
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিট এর উদ্বোধন হয়েছে ২০২৩ সালের। দ্বিতীয় ইউনিটের উদ্বোধনও খুব শীঘ্রই হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
২৫। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র কোথায় অবস্থিত?
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাংলাদেশের পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলায় অবস্থিত।
২৬। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র কোন জেলায় অবস্থিত?
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র পাবনা জেলায় অবস্থিত।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র সাধারণ জ্ঞান pdf
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অনুচ্ছেদ
বাংলাদেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র হল রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। দেশের বিদ্যুৎ চাহিদা মেটাতে এবং দেশের শিল্পায়নকে ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে এই কেন্দ্রটি নির্মিত হচ্ছে। বাগেরহাট জেলার রূপপুরে অবস্থিত এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি রাশিয়ার রোসাটম কর্পোরেশনের সহযোগিতায় নির্মিত হচ্ছে।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে দুটি রিঅ্যাক্টর থাকবে, প্রতিটি রিঅ্যাক্টর থেকে ১২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। মোট মিলিয়ে এই কেন্দ্রটি থেকে ২৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে। এই বিদ্যুৎ দেশের জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়ে দেশের বিদ্যুৎ সংকট নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
এই পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মাণের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যান্য উন্নত দেশের মতো পারমাণবিক শক্তির মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা অর্জন করবে। এছাড়াও এই প্রকল্পটি দেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র সম্পর্কিত প্রশ্নের উত্তর
১. রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মেয়াদকাল কত?
একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মেয়াদ সাধারণত ৪০-৬০ বছর ধরা হয়। তবে, নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ এবং আধুনিকীকরণের মাধ্যমে এই মেয়াদ আরও বাড়ানো সম্ভব। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ক্ষেত্রেও একই ধরনের মেয়াদ বিবেচিত হবে।
২. রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্রের মূল জ্বালানি কি?
রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্রে মূল জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হয় ইউরেনিয়াম। এই ইউরেনিয়ামকে বিশেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রস্তুত করে রিঅ্যাক্টরে ব্যবহার করা হয়।
৩. বাংলাদেশের রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পের সহায়তা দেশ কোনটি?
বাংলাদেশের রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পে সবচেয়ে বড় সহায়তা দিচ্ছে রাশিয়া। রাশিয়ার রোসাটম কর্পোরেশন এই প্রকল্পটি নির্মাণ করছে এবং প্রযুক্তিগত সহযোগিতা প্রদান করছে।
৪. রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কুলিং টাওয়ারের উচ্চতা কত?
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কুলিং টাওয়ারের সঠিক উচ্চতা সম্পর্কে সর্বজনীনভাবে প্রকাশিত সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। কুলিং টাওয়ারের উচ্চতা বিভিন্ন কারণের উপর নির্ভর করে, যেমন:
পরিবেশ: এলাকার আবহাওয়া, বাতাসের গতি ইত্যাদি।
বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ক্ষমতা: কত পরিমাণ তাপ শোষণ করতে হবে তার উপর নির্ভর করে উচ্চতা।
নকশা: বিভিন্ন নকশার কুলিং টাওয়ারের উচ্চতা ভিন্ন হতে পারে।
তবে সাধারণত পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কুলিং টাওয়ার অনেক উঁচু হয়। এর কারণ হল, তাপীয় বিদ্যুৎ উৎপাদনের সময় উৎপন্ন তাপকে পরিবেশে ছড়িয়ে দিতে উচ্চতায় বাতাসের প্রবাহের সাহায্য নেওয়া হয়।