লন্ডন স্টুডেন্ট ভিসা / লন্ডনে স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে করণীয় কি
লন্ডন স্টুডেন্ট ভিসা: বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা স্টুডেন্ট ভিসায় বিভিন্ন দেশে উচ্চ শিক্ষার জন্য যাচ্ছেন। তেমনিভাবে লন্ডনে ও বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করার জন্য যাচ্ছেন বা যেতে আগ্রহী। আপনারা যারা লন্ডনে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করার জন্য যেতে চাচ্ছেন। তাদের জন্য আজকের আর্টিকেলটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাজ্যে পড়াশোনা বিস্তারিত তথ্য
আমরা অনেকেই উচ্চশিক্ষার জন্য অনেক দেশে যেয়ে থাকি। যেমন, আমরা কেউ বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাজ্যে পড়াশোনা করতে যাই। কেউ যায় চীনে, কেউ আমেরিকা, কেউ কানাডা ইত্যাদি দেশে যেয়ে থাকেন। আপনারা যারা উচ্চ শিক্ষার জন্য বাইরে যেতে চান আজ তাদের জন্য আমরা কিছু বিষয় তুলে ধরব। আমরা আশাবাদী যে আপনার যারা বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাজ্যে পড়াশোনা করতে যেতে চান তারা আজকের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন।
লন্ডনে স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে করণীয় কি
যুক্তরাজ্যে স্টুডেন্ট ভিসায় যাওয়ার যে সকল কাজগুলো করতে হবে তা আজ আপনাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করব। স্পন্সার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে সর্বপ্রথম তাদের একটি কাচ নাম্বার অথবা কাজ রেফারেন্স নাম্বার সংগ্রহ করতে হবে । যেটিকে ভর্তির নিশ্চয়তাপত্র বলা হয়।
এর জন্য একজন শিক্ষার্থী পাবেন ৫০ নম্বর শিক্ষার্থীর কাগজপত্র যেমন সার্টিফিকেট মার্কশিট ইত্যাদি যাচাইয়ের পরপর স্পন্সার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কাজীশু করবে। কাজ ইস্যু করবে কিছু কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে যেগুলোতে আবেদনের সঙ্গে সঙ্গে আপনি কেনো সেখানে পড়তে চান তা বর্ণনা করে একটি রচনা লিখতে হবে তারপর জমা দিতে হয় ।
এছাড়াও রেফারেন্স লাগতে পারে যেমন আপনার পুরনো শিক্ষকের শিক্ষকদের কাছ থেকে। এগুলো সব স্পন্সরের নীতিমালা অনুযায়ী প্রযোজ্য হবে।যুক্তরাজ্যে পড়াশোনা করবেন তার জন্য খরচ রয়েছে ।
যুক্তরাজ্যের খরচ যেমন : খাওয়া খরচ,যাতায়ত,থাকা ইত্যাদি খরচ। খরচ গুলি আপনাকে বহন করতে হবে। আপনি যে খরচ করতে পারবেন তার একটি সচ্ছলতা সার্টিফিকেট লাগবে। যেটা আপনাকে ব্যাংক থেকে কালেক্ট করতে হবে।
ভাষায় দক্ষতা অর্জন করতে হবে
যুক্তরাজ্যে যাওয়ার জন্য IELTS ভাষার দক্ষতা লাগে। এখানে ১০ মার্ক আছে। IELTS এ কত লাগবে সেটাই আপনাদের এখন দেখাবো এবং IELTS নির্ধারণ করা যেটি আছে, সেটি যদি আপনি করতে পারেন তাহলে আপনি বাকি ১০ পয়েন্ট পেয়ে যাবেন।
সাধারণত ব্যাচেলর এবং এর উপরের পর্যায়ে লেখাপড়া করার জন্য ইংলিশে বি-২ বা এর সমমান স্কোর লাগবে। বাংলাদেশের সর্বাধিক প্রচলিত IELTS এর ৫.৫ থেকে ৬ এর সমান।
আবেদনকারী যদি ইংরেজিতে কম দক্ষ হন অথবা যুক্তরাজ্যে মূল কোর্সের সঙ্গে ইংরেজি ভাষা শিক্ষা কোর্স আসতে চান তবে ইংলিশ লেভেল বি-১ লাগবে যা IELTS এর ৪ বা ৫ এর সমান।
বিদেশ উচ্চশিক্ষার জন্য যেতে হলে কত পয়েন্ট প্রয়োজন
বিদেশ উচ্চশিক্ষার জন্য যেতে হলে কত পয়েন্ট প্রয়োজন তা নিয়ে আজ আপনাদের জানাবো। একজন শিক্ষার্থী ৭০ পয়েন্ট অর্জন করতে পারলে পড়াশোনার জন্য বিদেশ যেতে পারবেন। একজন শিক্ষার্থী আর্থিক স্বচ্ছলতা প্রমাণ করলে পেয়ে যাবেন ১০ পয়েন্ট । প্রতিষ্ঠান থেকে আপনি পাচ্ছেন ৫০ পয়েন্ট আর্থিক স্বচ্ছলতা থেকে পাচ্ছেন ১০ পয়েন্ট এবেং IELTS এ ১০ পয়েন্ট মোট ৭০ পয়েন্ট। আমরা যদি এই ৭০ পয়েন্ট করতে পারি তাহলে পড়াশোনার জন্য আমরা যুক্তরাজ্যে যেতে পারবো।
যুক্তরাজ্যে পড়াশোনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন কোর্সের খরচ কত
আজকে আপনাদের জানাবো যুক্তরাজ্যে পড়াশোনা করতে হলে কোন কোর্স এ মাসে কত টাকা খরচ হয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্ট অনুযায়ী বিভিন্ন রকম ভিন্নতা লক্ষ্য করা যায়। যদি ৯ মাসের কম সময়ের জন্য হয়ে থাকে তবে একজন আবেদনকারীকে দেখাতে হবে প্রতি মাসে এক লাখ ১১ হাজার টাকা ফি এবং থাকা-খাওয়া আলাদা।
কোর্স যদি ৯ মাসের বেশি হয় তাহলে কোর্স ফি এর সঙ্গে প্রতিমাসে উপরিক্ত হারে ৯ মাসের জন্য অর্থের ব্যবস্থা এই পরিমান টাকা অভিভাবকের ব্যাংক হিসাবে দেখাতে হবে। কমপক্ষে ২৮ দিন কেউ যদি ডিপোজিট কিংবা লোন নিয়ে দেখায় তা ও হবে।
যুক্তরাজ্যে স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন ফি কত লাগে
স্টুডেন্ট ভিসার আবেদন ফি ৬ মাসের জন্য ১০ হাজার ৫০০ টাকা এবং ১০ মাসের কোর্স এর জন্য থাকবে ১০ হাজার সাতশত টাকা।
লন্ডনে সর্বনিম্ন বেতন
লন্ডনে সর্বনিম্ন বেতন সম্পর্কে বিস্তারি। যদি কেউ কোন কাজ করে তার সর্বনিম্ন বেতন এক ঘন্টায় ৮ পাউন্ড বাংলাদেশি টাকায় ১,১০০ টাকার মতো। এটার নিচে দেওয়া যাবে না আইনত ভাবে। একজন স্বাভাবিক মানুষের দৈনিক প্রায় ৪ ঘন্টা কাজ করে থাকে, তাহলে তার একদিনের ইনকাম 8,000 টাকার মতো। বাৎসরিক আয়ের হিসাব করলে ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকার আশেপাশে হয়ে থাকে।
যুক্তরাজ্যে থাকলে প্রতি মাসে কেমন খরচ হয়
আজকে আপনাদের জানাব যুক্তরাজ্যে থাকলে কেমন খরচ হতে পারে সে সম্পর্কে। কোন একটি ম্যাচ বা ফ্ল্যাটে যদি থাকেন। যদি সিঙ্গেল রুম নিয়ে থাকেন তাহলে ন্যূনতম খরচ হবে ৫০০ থেকে ৫৫০পাউন্ড।
আর যদি আপনি শেয়ার করে ঘর নেন যেমন, দুজন, চারজন ইত্যাদি। শেয়ারের মাধ্যমে ঘর নিলে খরচ হবে ২০০ পাউন্ড। লন্ডন সিটের বাইরে থাকলে ৫০ পাউন্ড কম বেশি হয়ে থাকে। যদি আপনি প্রতিদিন তিন থেকে চার বার খান তাহলে আপনার খরচ পড়বে ২০০ পাউন্ড।
আর লন্ডন সিটির বাইরে হলে ১৮০ পাউন্ড এর মত। আপনি যে হোস্টেলে বা বাসায় থাকবেন তার ইলেকট্রনিক বিল আপনার উপর পড়বে ৬০ পাউন্ড। ব্রডব্যান্ড লাইন এবং মোবাইল ফোনের বিল দিয়ে মোট পড়বে ৬০ থেকে ৭০ পাউন্ড। লন্ডির জন্য ২০ থেকে ২৫ পাউন্ড খরচ হবে ।
এসাইরমেন্টের জন্য যেসব কাগজপত্র ইত্যাদি লাগবে সেগুলোর জন্য ৩০ থেকে ৪০ পাউন্ড খরচ হবে। যদি একটা স্টুডেন্ট তার ভার্সিটি যাওয়ার জন্য যদি মেট্রো ইউজ করে তাহলে তার মাসিক ৮০ থেকে ৯০ পাউন্ড খরচ হবে। এটা যদি বাংলাদেশী টাকায় হয় তাহলে প্রত্যেক মাসে মোট ৭০ থেকে এক লক্ষ টাকার মতো খরচ হয়ে থাকে।