Others

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি ২০২৪

আসসালামু আলাইকুম, আশা করি আল্লাহর রহমতে ভাল আছেন। সকল চাকরি প্রত্যাশীদের জন্য সুখবর হতে যাচ্ছে আজকের আর্টিকেলটি। অনেক অপেক্ষা এবং অনেক তিতিক্ষার পরে অবশেষে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি করা হয়েছে। অবশেষে সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকারি চাকরিতে প্রবেশ ও অবসরের বয়স বৃদ্ধি করা দরকার।

স্বৈরাশাসক সরকার শেখ হাসিনা থাকা অবস্থায় চাকরিতে বয়সসীমা বৃদ্ধি করা নিয়ে অনেক আন্দোলন হয়েছিল। যেখানে কোন প্রকার বয়স বৃদ্ধি করা হয়নি। তবে নতুন সরকার গঠনের পরেও বয়স ও অবসরের সময় বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে বিভিন্ন সময় আন্দোলন হয়েছে। আমাদের সবার দাবি ছিল সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করা হোক। এবং সরকারি চাকরিতে অবসরের বয়সসীমা। এই দাবিটা আজকের নয় বলতে গেলে অনেক কয় বছর আগের থেকে এই দাবি করে আসছে সকল সরকারি চাকরি প্রত্যাশী বন্ধুরা।

অবশেষে সরকার আমাদের সকল চাকরি প্রত্যাশীদের উদ্দেশ্যে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ও অবসরের সময়সীমা সামান্য বৃদ্ধি করা নিয়ে বিবেচনাধীন রয়েছে। তবে গোপন সূত্রে জানা গেছে যে সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়স দুই বছর বৃদ্ধি করে সর্বোচ্চ ৩২ বছর পর্যন্ত যোগ্যতা সম্পন্ন চাকরি প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। এবং অবসরের বয়সসীমা তিন বছর বাড়িয়ে 62 বছরের নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের ও অবসরের বয়সসীমা নিয়ে কাজ করে মূলত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এই দায়িত্বে রয়েছেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আব্দুল মুহিত চৌধুরী। পূর্বে সরকারি চাকরিতে বয়সসীমা ছিল ৩০ বছর এবং অবসরের সময়সীমা ছিল ৫৯ বছর।

আরেকটি সূত্রে আমরা জানতে পেরেছি চাকরিতে প্রবেশের ও অবসরের সময়সীমা বৃদ্ধিকরণের সিদ্ধান্ত এখনো নেওয়া হয়নি তবে সিদ্ধান্ত নেবে বলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় নিয়ে একটি কমিশন গঠন করেছে। এবং সেখানে চাকরিতে প্রবেশের ও অবসরের সময়সীমা নির্ধারণ নিয়ে চূড়ান্ত করা হবে। তবে আরো জানা গেছে যে কমিশন গঠন করা হয়েছে এবং সেই কমিশন যদি মনে করে বাংলাদেশের সরকারি চাকরিতে আবেদন করার বয়স ও অবসরের সময়সীমা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন তাহলে তারা বর্তমান সরকারকে আবেদন করার সময়সীমা ও অবসরের সময়সীমা বৃদ্ধি করার জন্য সুপারিশ করবেন।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জানা যায়, চাকরিতে অবসরের সময়সীমা বৃদ্ধি করা হলে বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে-যেমন একটি গবেষণায় বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য একজন অভিজ্ঞ লোকের প্রয়োজন হয় সেখানে বয়সসীমা বাধা হয়ে দাঁড়ায়। এছাড়া জনসংখ্যা বৃদ্ধি জনিত কারণে চাকরিতে আবেদনের বয়স ও প্রবেশের বয়স বৃদ্ধি করা সমস্যায় পড়তে পারে।

এছাড়া বেকারদের চাকরি দেওয়ার লক্ষ্যে বিভিন্ন নতুন নতুন প্রকল্প চালু করতে চাচ্ছে সরকার কমিশন। যেমন পরমাণু গবেষণা মহাকাশ গবেষণা এই ধরনের বিভিন্ন প্রকল্প বাড়াতে চাচ্ছে সরকার প্রধান।

পূর্বেও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কাছে বয়সীমা বাড়িয়ে 62 করার আবেদন করা হয়েছিল তখন নির্বাচন অনেক নিকটে ছিল বলে সেটা কার্যকর হয়নি। সংসদীয় কমিটি যে সময় অবসরে সময়সীমা ও আবেদনের সময়সীমা বৃদ্ধি করার প্রস্তাব রেখেছিল।

জানা যায় চাকরিতে সময়সীমা বৃদ্ধির ব্যাপারে যদিও সঙ্গে বৃদ্ধি করা হয়ে থাকে তাহলে সর্বোচ্চ দুই থেকে তিন বছর বাড়ানো হতে পারে বলে আশা করা যায়। তবে দুই থেকে তিন বছরে বেশি বাড়ানো হলে ভালোর থেকে খারাপ দিক আসবে বেশি। কারণ এতে বাড়বে বিপুল খরচ।

সরকারি চাকরির বয়সসীমা বাড়ানোর দাবি ও তার প্রভাব

বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে প্রবেশ ও অবসরের বয়স বাড়ানোর দাবি উঠেছে। প্রশাসন ক্যাডারের কর্মচারীরা মনে করেন, বয়সসীমা বাড়ালে বৈষম্য কমবে এবং বাস্তবতার সাথে সঙ্গতি হবে। কিন্তু এই সিদ্ধান্তের ফলে সরকারের খরচ অনেক বেড়ে যাবে।

  • বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ুষ্কাল বেড়েছে।
    অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের বয়সসীমা কম।
    শিক্ষার্থীদের সেশন জটের কারণে শিক্ষাজীবন দীর্ঘ হচ্ছে।
  • সরকারি কর্মচারীর বেতন-ভাতা খাতে খরচ অনেক বেড়ে যাবে।
    সরকারি কোষাগারে চাপ পড়বে।

পরিণাম

  • চাকরিপ্রার্থীর সংখ্যা বাড়বে।
    পরীক্ষা ব্যবস্থাপনা জটিল হবে।
  • কিছু বিশেষজ্ঞ মনে করেন বয়সসীমা বাড়ানো উচিত, কারণ এতে বৈষম্য কমবে।
    আবার অন্যরা মনে করেন, হঠাৎ বয়সসীমা বাড়ালে অনেক সমস্যা হতে পারে।

অন্যান্য দেশের অবস্থা:

ভারত, শ্রীলঙ্কা, নেপালসহ অন্যান্য দেশে সরকারি চাকরির বয়সসীমা বাংলাদেশের চেয়ে বেশি।

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি ২০২৪
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি ২০২৪ 3

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবির সর্বশেষ অবস্থা

দীর্ঘদিনের দাবির জবাবে: বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিটি বহু বছর ধরে চলে আসছে। চাকরিপ্রার্থীদের এই দীর্ঘদিনের দাবির প্রতি সাড়া দিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ বিষয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিদ্ধান্ত: বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সাধারণ অধিশাখা থেকে পাঠানো এক চিঠিতে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর এবং অবসরের বয়সসীমা ৬৫ বছর করার বিষয়টি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। অর্থাৎ, এই বিষয়টি এখন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিবেচনার অধীনে।

চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন ; এই দাবি আদায়ের জন্য চাকরিপ্রার্থীরা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরনের আন্দোলন করেছেন। রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ, গণঅনশন ইত্যাদি কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এমনকি বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সংসদেও এই বিষয়ে আলোচনা হয়েছিল।

সরকারের আগের অবস্থান

তবে এর আগে সরকার এই দাবির বিরোধিতা করে বলেছিল যে, বয়সসীমা বাড়ালে প্রতিযোগিতা বাড়বে এবং তরুণ প্রার্থীরা হতাশ হতে পারে। এছাড়া, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সেশনজট না থাকায় তরুণরা যথেষ্ট সময় পান চাকরির জন্য প্রস্তুতি নিতে।

নতুন পরিস্থিতি

তবে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর এই বিষয়ে নতুন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এই সিদ্ধান্ত চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে আশার সঞ্চার করেছে।

“সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি” এই সিদ্ধান্তের গুরুত্ব

এই সিদ্ধান্তের ফলে বাংলাদেশের বহু তরুণ-তরুণী সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সুযোগ পাবেন। এছাড়া, দেশের যুব সমাজের মধ্যে একটি ইতিবাচক বার্তা যাবে।

আগামী দিনে কী হতে পারে?

এখন দেখার বিষয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এই বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নেয়। যদি তারা এই প্রস্তাবকে অনুমোদন দেয়, তাহলে বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা হবে।

Read More

Govt Job Circular 2024

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ছে

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button