শীতকালে কিভাবে ঠোঁটের যত্ন নিবেন।
শীত আসতে না আসতেই ঠোঁট ফাটার যন্ত্রণা শুরু হয়। আবহাওয়া শুষ্ক ও রুক্ষ হওয়ায় কিছুক্ষণ পরপর ঠোঁট শুকিয়ে আসে। এই ঠোঁট ফাটার সমস্যায় যত্ন না নিলে সমস্যা বাড়তেই থাকে। তাই শীতে ঠোঁটের যত্ন নেওয়া জরুরি।
- শীতের শুরু থেকেই ভালো মানের পেট্রোলিয়াম জেলি, নারকেল তেল বা গ্লিসারিন ঠোঁট ও ঠোঁটের চারদিকে লাগাতে হবে। বাইরে গেলে লিপবাম অথবা লিপজেল সবসময় সাথে রাখা ভালো।
- সপ্তাহে একবার আধা চামচ চিনি ও কোল্ড ক্রিম একসঙ্গে মিশিয়ে ঠোঁটে মাখিয়ে রাখুন।
- শীতকালে ঠোঁট শুষ্ক হয়ে যায় এমন লিপস্টিক ব্যবহার না করাই ভালো। ঠোঁটে অবশ্যই ময়েশ্চারাইজারযুক্ত লিপস্টিক লাগাতে হবে। এসময় ম্যাট লিপস্টিক পরিহার করাই ভালো।
- লেবু ও চিনি একসাথে ঠোঁটে ২-৩ মিনিট স্ক্রাব করা উচিত। সপ্তাহে দুই/তিন দিন এই স্ক্রাব করতে পারেন।
- কয়েক ফোঁটা গোলাপ জল ও সামান্য মধু মিশিয়ে মিশ্রণটি ঠোঁটে লাগাতে পারেন। সপ্তাহে প্রতিদিন এটি লাগাতে পারেন।
- পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি, ফল ও সবজি খেতে হবে। এতে ঠোঁট ময়েশ্চার থাকবে। এতে শরীরের তথা ঠোঁটে পানির ঘাটতি থাকবে না।
- ঠোঁট ফাটলে মরা চামড়া আঙ্গুল দিয়ে উঠানো যাবে না। রাতে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে পরেরদিন সকালে পাতলা কাপড় দিয়ে ঘষলেই মরা চামড়া উঠে যাবে।
- অনেকেই ঠোঁটের শুষ্কতা রোধের জন্য জিহ্বা দিয়ে ঠোঁট ভিজিয়ে রাখেন। কিন্তু এতে ঠোঁটের অনেক ক্ষতি হয়। অনেক সময় ঠোঁট ফেটেও যায় এর কারণে। তাই ঠোঁট শুষ্ক হলে ময়েশ্চারাইজার লাগানো উচিত।
- রাতে শোবার আগে আমন্ড অয়েল মাখিয়ে রাখলে ঠোঁট সুস্থ থাকে।
- ঠোঁটের মসৃণতা বজায় রাখতে স্ট্রবেরির ক্বাথ, মধু ও দুধের সর মিশিয়ে ঠোঁটে লাগিয়ে রাখুন। ১৫/২০ পর ধুয়ে ফেলুন।
- ঠোঁটের কোমলতা বজায় রাখতে প্রতিদিন অলিভ অয়েল, মধু ও গোলাপজল একসাথে মিশিয়ে ঠোঁটে লাগিয়ে রাখুন। মিনিট ১০ পর আলতো ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন।
- লিপস্টিক ব্যবহারের ক্ষেত্রে ভালো ব্র্যান্ডের লিপস্টিক ব্যবহার করাই ভালো। নন ব্র্যান্ডের বা কম দামি লিপস্টিক ঠোঁটের অনেক ক্ষতি করে। তাৎক্ষণিক ভাবে না হলেও ঠোঁটের অনেক ক্ষতি হয়।
শীতে ফেটেছে ঠোঁট, করণীয় কী
শীতে বাতাসের আর্দ্রতা কমে যায় আবহাওয়া হয়ে উঠে শুষ্ক। এই ঋতুর আগমনে প্রকৃতিতে নেমে আসে শুষ্কতা, ত্বকেও দেখা যায় নানা ধরনের সমস্যা। দেহের অন্যান্য অংশের তুলনায় ঠোঁটের চামড়া পাতলা হওয়ায় ঠোঁট শীতে একটু বেশিই কাবু হয়, ফেটে যায়।
অতিরিক্ত শুষ্কতার কারণে মাঝেমাঝে ঠোঁট ফেটে রক্তও বের হতে পারে। তাই শীতে ঠোঁটের অতিরিক্ত যত্ন জরুরি। আগে থেকে একটু সচেতন হলে সহজেই ঠেকানো যাবে শীতে ঠোঁট ফেটে যাবার সমস্যাকে।
ঠোঁট ফাটার কারণ
বেশকিছু কারণে ঠোঁটের চামড়া ফাটতে পারে। বারবার জিহ্বা দিয়ে ঠোঁট ভেজানোর অভ্যাস ঠোঁট ফাটার বা কালো হয়ে যাবার অন্যতম কারণ। তাছাড়া পুষ্টিহীনতা, পানিশূন্যতা, সূর্যের আলট্রা ভায়োলেট রশ্মি, থাইরয়েডের সমস্যা ইত্যাদি কারণেও ঠোঁটের চামড়া ফেটে যেতে পারে। ঠোঁটের চামড়া ফাটার আরেকটি অন্যতম কারণ হলো নিম্নমানের ঠোঁটের প্রসাধনী ব্যবহার করা, যেগুলো ঠোঁটকে আরx শুষ্ক ও রুক্ষ করে তোলে। আবার অনেক সময় ঠোঁটে লাগানো লিপস্টিক, লিপবাম, পেট্রোলিয়াম জেলি এলার্জির কারণ হয়ে চুলকানি শুরু হতে পারে, যা থেকেও ঠোঁট ফাটতে পারে
- শীতে ত্বকে পেট্রোলিয়াম জেলির নানা ব্যবহার
- অ্যালোভেরা জেল, জোজোবা অয়েল, সিয়া বাটার, গ্লিসারিন,নারকেল তেলও ঠোঁটকে সুন্দর ও মসৃণ রাখতে সাহায্য করে। কাঠবাদামের তেল ও লেবুর মিশ্রণ লাগিয়ে রাখলেও বেশ উপকার পাওয়া যায়। ঠোঁটে গোলাপি আভা আনতে কাঁচা দুধের সঙ্গে লেবু মিশিয়ে লাগিয়ে রাখতে হবে শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত। তারপর ঘষে পরিষ্কার করে নিলে মরা কোষগুলোও উঠে আসবে।
- ঠোঁটের চামড়া যদি ফেটেই যায় তবে কখনোই টেনে তোলা উচিত নয়। এতে ঠোঁট ফাটার সমস্যা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।
ফাটা ঠোঁট থেকে মুক্তি পাওয়ার ঘরোয়া উপায়
- ১. এক্সফলিয়েট করুন নরম টুথব্রাশ বা পাতলা কাপড়ের টুকরা ভিজিয়ে ঠোঁটের উপর আলতো করে ঘষে নিন।
- ২. পর্যাপ্ত পানি পান করুন আমাদের ঠোঁটে কোনো তৈলগ্রন্থি থাকে না। …
- ৩. সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন ।
- ৪. লিপবাম ব্যবহার করুন।
- ৫. ঠোঁটের স্ক্রাবার, ক্রিম ব্যবহার করুন।