How many days does it take to correct a voter ID card।ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত দিন লাগে
জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের জন্য আবেদন করেছেন? কিন্তু জানেন না আবেদন অনুমোদন পেতে কত সময় লাগবে? আজকের এই পোস্টে আমরা আলোচনা করব ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত দিন লাগে (How many days does it take to correct a voter ID card) এবং কেন সময় কম বা বেশি লাগতে পারে!
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের বিভিন্ন ধরণ বা ক্যাটাগরি রয়েছে। অনুমোদন পেতে সময় নির্ভর করে সংশোধনের ধরন অর্থাৎ কোন ক্যাটাগরির উপর আপনি আবেদন করেছেন।
অনেকেই আবেদন করার পর তার অবস্থার সম্পর্কে জানেন না। অনেক দিন অপেক্ষা করার পর কিছু লোক মনে করে যে তাদের আবেদনে কোনো ভুল হয়েছে, এবং পুনরায় নতুন আবেদন করে।
সংশোধনের ক্যাটাগরি অনুযায়ী অনুমোদন পেতে অনেক সময় লাগতে পারে। আজকের এই পোস্টে আমরা আলোচনা করব সংশোধনের ক্যাটাগরি অনুযায়ী কত দিন সময় লাগতে পারে।
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত দিন লাগে (How many days does it take to correct a voter ID card)
ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য সংশোধনের জন্য সাধারণত ৭ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে সময় লাগতে পারে। এই সময়কালটি সংশোধনের ক্যাটাগরি অনুযায়ী পরিবর্তিত হয়। মোট ৪টি ক্যাটাগরি রয়েছে: ক, খ, গ, এবং ঘ।
ক্যাটাগরি অনুযায়ী সংশোধনের সময়কাল:
- ক ক্যাটাগরি: সাধারণত ৭ দিন।
- খ ক্যাটাগরি: সাধারণত ১৫ দিন।
- গ ক্যাটাগরি: সাধারণত ৩০ দিন।
- ঘ ক্যাটাগরি: সাধারণত ৪৫ দিন।
নির্বাচন কমিশন সংশোধনের সময় নির্ধারণ করে থাকলেও, কখনো কখনো ২-৫ দিন কম বা বেশি সময় লাগতে পারে। এছাড়াও, সংশোধনের ক্যাটাগরি অনুযায়ী সংশোধন আবেদনের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তার পরিবর্তন ঘটতে পারে।
বোঝার সুবিধার্থে, নিচে ক্যাটাগরি অনুযায়ী দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নাম এবং সংশোধন করতে কত দিন লাগে তার একটি তালিকা প্রদান করা হলো:
সংশোধনের ক্যাটাগরি | দায়িত্ত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা | সময় |
ক | উপজেলা নির্বাচন অফিসার | ৭ দিন |
খ | জেলা নির্বাচন অফিসার | ১৫ দিন |
গ | আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসার | ৩০ দিন |
ঘ | NID Wing এর মহাপরিচালক | ৪৫ দিন |
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের আবেদন নির্বাচন কমিশনের অফিসে অথবা অনলাইনে করা যেতে পারে। আবেদন জমা দেওয়ার পর, এটি প্রথমে NID Wing-এ কর্মরত দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসারের কাছে পাঠানো হয়।
দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবেদনগুলো সংশোধনের ধরণ অনুযায়ী ক্যাটাগরিতে ভাগ করেন এবং সংশোধনের জন্য নির্দিষ্ট ক্যাটাগরির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে পাঠান। এরপর সংশোধনের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবেদন যাচাই করে, প্রয়োজন অনুযায়ী বাতিল বা অনুমোদন করেন। আবেদন অনুমোদিত হলে, ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য সংশোধন করা হয়।
Download the Nid card with the Nid number Nid। নাম্বার দিয়ে আইডি কার্ড বের করার নিয়ম [2024]
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন ক্যাটাগরি
ভোটার আইডি কার্ড হল একটি গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট যা একজন নাগরিকের পরিচয় প্রমাণ এবং ভোটাধিকার নিশ্চিত করে। তবে, বিভিন্ন কারণে ভোটার আইডি কার্ডে ভুল বা অসঙ্গতি থাকতে পারে। এসব সমস্যা সমাধানের জন্য নির্বাচন কমিশন বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে সংশোধন সুবিধা প্রদান করে থাকে। এ আর্টিকেলে আমরা ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের বিভিন্ন ক্যাটাগরি এবং সংশোধনের প্রক্রিয়া নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের সময়কাল আবেদনকারীর ক্যাটাগরির উপর নির্ভর করে। প্রতিটি ক্যাটাগরির জন্য সংশোধন প্রক্রিয়া এবং সময়সীমা আলাদা হতে পারে। নিম্নে প্রতিটি ক্যাটাগরির জন্য বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হলো:
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন ক্যাটাগরি – ক
এই ক্যাটাগরিতে যে সকল তথ্য সংশোধিত হয় তা হল:
- আবেদনকারীর নামের বানান সংশোধন
- নামের আংশিক পরিবর্তন
- জন্ম তারিখ সংশোধন (৩ বছরের মধ্যে)
- বাংলা এবং ইংরেজি নামের মধ্যে মিলানো
- লিঙ্গ পরিবর্তন
- ঠিকানা সংশোধন
- বৈবাহিক অবস্থা
- মোবাইল নম্বর
- রক্তের গ্রুপ
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন ক্যাটাগরি – খ
এই ক্যাটাগরিতে যে সকল তথ্য সংশোধিত হয় তা হল:
- জন্ম তারিখ সংশোধন (৫ বছরের মধ্যে)
- শিক্ষাগত যোগ্যতা পরিবর্তন
- স্বামী/স্ত্রীর নাম সংযোজন বা বিয়োজন
- প্রতিবন্ধিতা
- ধর্ম পরিবর্তন
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন ক্যাটাগরি – গ
এই ক্যাটাগরিতে যে সকল তথ্য সংশোধিত হয় তা হল:
- আবেদনকারীর সম্পূর্ণ নাম পরিবর্তন (পাবলিক পরীক্ষার সনদের ভিত্তিতে)
- জন্ম তারিখ সংশোধন (৫ বছরের বেশি, কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে যেমন চাকরির বয়স সীমা, ভোটার যোগ্যতা, নির্বাচন প্রার্থীর সীমা, মুক্তিযোদ্ধা, বয়স্ক ভাতা অর্জনের বয়স সীমা ছাড়া)
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন ক্যাটাগরি – ঘ
এই ক্যাটাগরিতে যে সকল তথ্য সংশোধিত হয় তা হল:
- সম্পূর্ণ নাম পরিবর্তন (পাবলিক পরীক্ষার সনদ বাদে অন্যান্য প্রমাণপত্রের ভিত্তিতে)
- জন্ম তারিখ সংশোধন (সকল ক্ষেত্রে)
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের ফি
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের জন্য সাধারণত তিনটি ক্যাটাগরি থাকে। সংশোধন করার তথ্যের ধরন এবং সংশোধনের বার্তা অনুযায়ী ফি পরিবর্তিত হতে পারে।
সাধারণত ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের জন্য মোট ২৩০ টাকা লাগে, যার মধ্যে ২০০ টাকা ফি এবং ১৫% ভ্যাট হিসাবে ৩০ টাকা অন্তর্ভুক্ত। তবে, জাতীয় পরিচয় পত্রের অন্যান্য তথ্য সংশোধন করতে মোট ১১৫ টাকা ফি প্রদান করতে হয়, যার মধ্যে ১০০ টাকা ফি এবং ১৫% ভ্যাট হিসাবে ১৫ টাকা অন্তর্ভুক্ত।
দ্রুত ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করবেন যেভাবে
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের জন্য কোনও অতিরিক্ত ফি কিংবা বিশেষ চাহিদা নেই। সাধারণভাবে, ভোটার তথ্য সংশোধনের আবেদন প্রক্রিয়া মূলত নির্ভর করে প্রদানকৃত প্রমাণপত্রের উপর।
অর্থাৎ, আপনার সরবরাহকৃত প্রমাণপত্র সঠিক হলে আবেদন অনুমোদনে কম সময় লাগবে। সঠিকভাবে আবেদন করে এবং সঠিক প্রমাণপত্র প্রদান করলে আবেদন দ্রুত অনুমোদিত হবে।
তবে সব সময় এমনটা ঘটে না। নির্বাচনের সময় অথবা অন্যান্য ব্যস্ত সময়ে আবেদন প্রক্রিয়া অধিক সময় নিতে পারে।
শেষ কথা
আশা করি আজকের পোস্টটি আপনার কাছে উপকারী ও তথ্যবহুল মনে হয়েছে। আজকের আলোচনায়, আমরা ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত দিন লাগে (How many days does it take to correct a voter ID card) এবং কি কি তথ্যের প্রয়োজন হয় তা বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করেছি। এই তথ্যগুলো আপনাকে নতুন ভোটার আবেদন প্রক্রিয়া সহজভাবে পরিচালনা করতে সাহায্য করবে।
আপনি যদি ভোটার আইডি কার্ড বা এ সংক্রান্ত আরো নতুন পোস্ট পেতে আগ্রহী হন, তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটটি বুকমার্ক করে রাখতে পারেন। এছাড়া, আপনার মূল্যবান মতামত বা কোনো প্রশ্ন থাকলে, দয়া করে কমেন্টে শেয়ার করতে ভুলবেন না।