ভোটার আইডি কার্ড

স্মার্ট কার্ড ডাউনলোড করুন | Smart Card Download

দেশের সকল নাগরিককে টেকসই ডিজিটাল জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানের লক্ষ্যে একটি স্মার্ট কার্ড বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বর্তমানে করপোরেশনের চার জেলায় দুই সিটি, ঢাকা ও কুড়িগ্রাম, দশিয়ারছড়ায় স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা হচ্ছে। একটি মানুষের চোখের আইরিস ছবি এবং দশটি আঙুলের ছাপ ব্যবহার করে স্মার্ট কার্ড তৈরি করা হয়েছে। এর বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে নিরাপত্তার দিকগুলি সব কিছুর উপরে বজায় রাখা হবে। অনেকেই প্রশ্ন করেন এই স্মার্ট কার্ড কি, কেন, কিভাবে পাবেন। আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় হলো স্মার্ট কার্ড ডাউনলোড করুন | Smart Card Download বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা।

স্মার্ট কার্ড কি?

জাতীয় পরিচয়পত্রের ডিজিটাল সংস্করণকে বলা হয় স্মার্ট কার্ড। দেশের নাগরিকদের ডিজিটাল তথ্য সংরক্ষিত থাকবে স্মার্ট কার্ডে। এই কার্ডের মাধ্যমে জনগণ নাগরিকদের অবস্থা বুঝতে পারবে। স্মার্ট কার্ডে বিভিন্ন ধরনের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা তাদের নকল করা কঠিন করে তোলে। এই স্মার্ট কার্ডের সাহায্যে বিভিন্ন ব্যক্তিগত সেবা উপভোগ করা যাবে।

স্মার্টকার্ডের নিরাপত্তা

বিভিন্ন অবৈধ কাজে নকল জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহারের সমস্যা ছিল, কারণ সাধারণ ফটোকপি মেশিনের সাহায্যে খুব সহজেই নকল কার্ড তৈরি করা যেত। পুরনো জাতীয় পরিচয়পত্রে যথেষ্ট নিরাপত্তা ফিচার না থাকার কারণে এটি সম্ভব হত। তবে স্মার্টকার্ডের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নতি করা হয়েছে, যা এই সমস্যাগুলোর সমাধান করতে সহায়তা করবে।

স্মার্টকার্ডের নিরাপত্তা ফিচার

স্মার্টকার্ডে তিন স্তরের মোট ২৫টি নিরাপত্তা-বৈশিষ্ট্য সংযোজিত হয়েছে:

  1. প্রথম স্তর:
  • প্রথম স্তরের নিরাপত্তাগুলি খালি চোখে দেখা যায়। যেকোনো ব্যবহারকারী সহজেই চিহ্নিত করতে পারেন। তবে নকল এমনভাবে করা হতে পারে যে খালি চোখে বুঝা যাবে না।
  1. দ্বিতীয় স্তর:
  • দ্বিতীয় স্তরের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য যন্ত্রের মাধ্যমে দেখা যাবে। এ স্তরের বৈশিষ্ট্যগুলি সাধারণ চোখে ধরা পড়ে না এবং বিশেষ যন্ত্রপাতির মাধ্যমে যাচাই করতে হয়।
  1. তৃতীয় স্তর:
  • তৃতীয় স্তরের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য দেখতে ল্যাবরেটরিতে ফরেনসিক টেস্টের প্রয়োজন হবে। এই স্তরের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্যগুলি অত্যন্ত উন্নত এবং শুধুমাত্র বিশেষজ্ঞদের দ্বারা পরীক্ষা করা সম্ভব।

তথ্য সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা

স্মার্টকার্ডে থাকা সব নাগরিকের তথ্য একটি নিরাপদ সার্ভারে জমা থাকে। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, এই তথ্যগুলো যতটা সম্ভব নিরাপদে রাখা হবে যাতে হ্যাকাররা চুরি করতে না পারে। আইরিশ স্ক্যান ও ফিঙ্গারপ্রিন্ট তথ্য সার্ভারে বাইনারি কোড আকারে সংরক্ষণ হবে। ফলে চুরি হলেও এই তথ্যগুলি সুরক্ষিত থাকবে।

স্মার্টকার্ডের উন্নত নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও তথ্য সংরক্ষণের উন্নত পদ্ধতি নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করে। এই উন্নত নিরাপত্তা ফিচারগুলো নকল জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরির সমস্যার সমাধান করবে এবং অবৈধ কার্যকলাপ প্রতিরোধে সহায়তা করবে।

স্মার্ট কার্ডের সুবিধা

স্মার্ট কার্ডটি নাগরিকদের জন্য ২২ ধরণের সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই সুবিধাগুলি হল:

  1. আয়করদাতা সনাক্তকরণ নাম্বার পেতে
  2. শেয়ার আবেদন ও বিও হিসাব খোলার জন্য
  3. ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরি ও নবায়নের জন্য
  4. পাসপোর্টের আবেদন ও নবায়নের জন্য
  5. যানবাহনের রেজিস্ট্রেশনের জন্য
  6. ট্রেড লাইসেন্সের জন্য
  7. চাকরির আবেদনের জন্য
  8. বিমা ও স্কিমে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে
  9. বিয়ে বা তালাক রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে
  10. স্থাবর সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে
  11. ব্যাংকের হিসাব খোলার জন্য
  12. ব্যাংক ঋণ গ্রহণ বা পরিশোধের ক্ষেত্রে
  13. নির্বাচনের ভোটার শনাক্ত করার জন্য
  14. সরকারি ভাতা উত্তোলনের ক্ষেত্রে
  15. সরকারি ভর্তুকি দেয়ার ক্ষেত্রে
  16. বিভিন্ন সাহায্য-সহযোগিতার ক্ষেত্রে
  17. টেলিফোন-মোবাইলের সংযোগের জন্য
  18. ই-টিকেটিং এর জন্য
  19. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে
  20. আসামী ও অপরাধী শনাক্তকরণের ক্ষেত্রে
  21. আইডেন্টিফিকেশন নাম্বার পাওয়ার জন্য
  22. সিকিউরড ওয়েবে লগ-ইন করার জন্য

স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্রের প্রয়োজনীয়তা ও নাগরিক সেবার বিষয়ে আরো অনেক সুবিধা আছে যা আমাদের এখনো অজানা। এটি শুধু নিরাপত্তা ও পরিচয় নিশ্চিত করে না, বরং নাগরিকদের দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রেও সহায়তা করে।

স্মার্ট কার্ড পাওয়ার যোগ্য ব্যক্তি কারা?

গত বছর ৬ অক্টোবর জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন (সংশোধন) বিল, ২০১৩ সংসদে পাস হয়, যাতে দেশের সব নাগরিককে জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে।

এই আইনের ফলে ১৮ বছরের কম বয়সীরাও জাতীয় পরিচয়পত্র পাবেন। এ আইনে নাগরিকদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা তথ্য-উপাত্ত তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে সংরক্ষণ ও গোপনীয়তা রক্ষার বিধান রাখা হয়েছে। কোনো ব্যক্তি বা নির্বাচন কমিশনের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী বিনা অনুমতিতে ভোটার তালিকা বা জাতীয় পরিচয়পত্র-সংক্রান্ত তথ্য বা উপাত্তের গোপনীয়তা লঙ্ঘন করলে সর্বোচ্চ পাঁচ বছর কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানার শাস্তি রয়েছে।

এনআইডি স্মার্ট কার্ড ডাউনলোড (Smart Card Download)

এনআইডি স্মার্ট কার্ড ডাউনলোড করার জন্য আপনাকে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করতে হবে:

  1. অনলাইনে এনআইডি পোর্টাল প্রবেশ করুন:
  • প্রথমে আপনার কম্পিউটার বা মোবাইল থেকে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট এ যান।
  1. লগইন বা নিবন্ধন করুন:
  • যদি আপনি আগে থেকেই নিবন্ধিত থাকেন, তাহলে আপনার এনআইডি নম্বর এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করুন। যদি নতুন ব্যবহারকারী হন, তাহলে ‘নিবন্ধন করুন’ বা ‘রেজিস্টার’ অপশনে ক্লিক করে নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করুন।
  1. প্রোফাইল আপডেট করুন:
  • লগইন করার পর আপনার প্রোফাইল আপডেট করতে হতে পারে। সঠিক তথ্য দিয়ে আপনার প্রোফাইল সম্পূর্ণ করুন।
  1. স্মার্ট কার্ড ডাউনলোড অপশনে যান:
  • প্রোফাইল আপডেট করার পর, ড্যাশবোর্ড থেকে ‘ডাউনলোড এনআইডি স্মার্ট কার্ড’ বা এ ধরনের কোনো অপশন খুঁজে বের করুন।
  1. ডাউনলোড শুরু করুন:
  • নির্দিষ্ট ফর্ম পূরণ করে এবং প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করে ডাউনলোড বোতামে ক্লিক করুন।
  1. ডাউনলোড ফাইল সংরক্ষণ করুন:
  • ডাউনলোড সম্পন্ন হলে আপনার কম্পিউটারে বা মোবাইলে ফাইলটি সংরক্ষণ করুন।

Smart Card Download

এনআইডি স্মার্ট কার্ড ডাউনলোড করতে কোনো সমস্যা হলে, নির্বাচন কমিশনের হেল্পলাইন বা নিকটবর্তী নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করতে পারেন।

স্মার্ট কার্ড কিভাবে পাবেন

স্মার্ট কার্ড তৈরী হলে তা সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচন অফিসে স্থানান্তর করা হয়। আপনি আপনার উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে স্মার্ট কার্ড সংগ্রহ করতে পারবেন। গ্রামে বা এলাকাভিত্তিক স্মার্ট কার্ড বিতরণ ক্যাম্পেইন করে গ্রাহকের কাছে স্মার্ট আইডি কার্ড প্রদান করা হয়।

স্মার্ট কার্ড প্রাপ্তির পদ্ধতি

২০১৯ সালের আগের ভোটারগণ:

যারা ২০১৯ সালের আগে ভোটার নিবন্ধন করেছেন, তারা স্মার্ট কার্ড পেতে হলে পুনরায় বায়োমেট্রিক তথ্য প্রদান করতে হবে। এর মধ্যে চোখের রেটিনা স্ক্যান ও হাতের দশ আঙুলের ছাপ দিতে হবে।

পুরাতন এনআইডি কার্ডধারীরা:

যারা প্রথম দিকে প্রিন্টেড লেমেনেটিং করা আইডি কার্ড পেয়েছেন, তাদের অনেকেই স্মার্ট কার্ড পাননি। এই কার্ডে শুধুমাত্র দুই আঙুলের ছাপ, ছবি ও স্বাক্ষর ছিল। যদি কারো পুরাতন এনআইডি কার্ডে ভুল থাকে, তবে তারা আইডি কার্ড সংশোধন আবেদন করে তথ্য পরিবর্তন করে নতুন স্মার্ট আইডি কার্ড পেতে পারেন।

বায়োমেট্রিক তথ্য আপডেট

স্মার্ট কার্ডে দশ আঙ্গুলের ফিঙ্গারপ্রিন্ট, চোখের রেটিনা, ডিজিটাল সাইন এবং থামপ্রিন্ট সংগ্রহ করা হয়। তাই আপনার পুরাতন আইডি থেকে স্মার্ট আইডি কার্ড পেতে হলে এই সমস্ত বায়োমেট্রিক ডেটা পুনরায় প্রদান করতে হবে।

স্মার্ট কার্ড বিতরণ প্রক্রিয়া

স্মার্ট কার্ড প্রস্তুতকরণ একটি ব্যয়বহুল প্রক্রিয়া। তাই ব্যক্তির একক আবেদনে স্মার্ট কার্ড প্রদান করা হয় না। জেলা বা উপজেলা ভিত্তিক স্মার্ট কার্ড বিতরণ কর্মসূচির মাধ্যমে এলাকা/গ্রামে গ্রামে আইডি কার্ড বিতরণ করা হয়।

স্মার্ট কার্ড এবং আইডি কার্ডের পার্থক্য

ডিজাইন ও গঠন

  • স্মার্ট কার্ড:
  • প্লাস্টিকের তৈরি এবং এটিতে একটি এমবেডেড চিপ রয়েছে।
  • কার্ডের ডিজাইনে হোলোগ্রাম, মাইক্রোটেক্সট, এবং অন্যান্য নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য থাকে।
  • কার্ডের মধ্যে বিদ্যুৎচুম্বকীয় স্ট্রিপ বা চিপে থাকা তথ্য প্রক্রিয়া করার ক্ষমতা থাকে।
  • আইডি কার্ড:
  • সাধারণত কাগজের লেমিনেটেড কার্ড যা সহজেই নকল করা সম্ভব।
  • ডিজাইন এবং গঠন সাধারণত কম নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্যযুক্ত।

নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য

  • স্মার্ট কার্ড:
  • তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। প্রথম স্তরের বৈশিষ্ট্যগুলি খালি চোখে দেখা যায়, দ্বিতীয় স্তরের বৈশিষ্ট্যগুলি যন্ত্রের মাধ্যমে দেখা যায়, এবং তৃতীয় স্তরের বৈশিষ্ট্যগুলি ফরেনসিক টেস্টের মাধ্যমে দেখা যায়।
  • দশ আঙুলের ফিঙ্গারপ্রিন্ট, চোখের রেটিনা স্ক্যান এবং ডিজিটাল সাইন থাকে।
  • আইডি কার্ড:
  • শুধু দুই আঙুলের ছাপ, ছবি, এবং স্বাক্ষর থাকে।
  • নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য কম এবং সহজেই নকল করা সম্ভব।

তথ্য সংরক্ষণ

  • স্মার্ট কার্ড:
  • স্মার্ট কার্ডে থাকা সকল তথ্য একটি সার্ভারে জমা থাকে এবং তা নিরাপত্তা সুরক্ষিত।
  • আইরিশ স্ক্যান এবং ফিঙ্গারপ্রিন্ট তথ্য সার্ভারে বাইনারি কোড আকারে সংরক্ষিত হয়।
  • আইডি কার্ড:
  • সাধারণত ফিজিক্যাল কার্ডের মধ্যে শুধুমাত্র পরিচয় সংক্রান্ত তথ্য থাকে।
  • তথ্য সুরক্ষার ব্যবস্থা তুলনামূলকভাবে কম।

ব্যবহার

  • স্মার্ট কার্ড:
  • স্মার্ট কার্ড বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হতে পারে।
  • এটিএম, পাসপোর্ট, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা ইত্যাদি ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়।
  • আইডি কার্ড:
  • শুধুমাত্র পরিচয় প্রমাণের জন্য ব্যবহৃত হয়।
  • বিশেষ কোনো বৈশিষ্ট্য বা সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে এটি ব্যবহার করা হয় না।

স্মার্ট কার্ড একটি উন্নত প্রযুক্তি এবং নিরাপত্তা সুরক্ষার জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে, যেখানে আইডি কার্ড সাধারণ পরিচয় প্রমাণের জন্য ব্যবহৃত হয়। স্মার্ট কার্ডের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য এবং ব্যবহারিক সুবিধা এটি আইডি কার্ডের তুলনায় অনেক বেশি কার্যকর ও নিরাপদ করে তোলে।

উপসংহার 

উপরিউক্ত আলোচনা পরিশেষে, আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় ছিল স্মার্ট কার্ড ডাউনলোড করুন | Smart Card Download বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা। এছাড়া স্মার্ট কার্ড সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। উপরিউক্ত আর্টিকেল পড়ে যদি উপকৃত হয়ে থাকেন সবার সাথে শেয়ার করুন। ধন্যবাদ

স্মার্ট কার্ড ডাউনলোড করুন | Smart Card Download সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন এবং উত্তর/ FAQ

প্রশ্ন: স্মার্ট কার্ড এ কি টাকা থাকে?

উত্তর: স্মার্ট কার্ডে টাকা থাকে না। এটি মূলত একটি নিরাপদ পরিচয়পত্র যা ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত এবং বায়োমেট্রিক তথ্য সংরক্ষণ করে। যদিও এটিতে চিপ থাকে যা বিভিন্ন তথ্য সংরক্ষণ করতে পারে, স্মার্ট কার্ডটি মূলত নাগরিকদের পরিচয় নিশ্চিত করার জন্য এবং বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়।

প্রশ্ন: অনলাইন থেকে কি স্মার্ট কার্ড ডাউনলোড করা যায়?

উত্তর: আপনার নাগরিকত্বের প্রমাণ হলো জাতীয় পরিচয়পত্র বা এনআইডি স্মার্ট কার্ড। তবে বর্তমানে প্রায় সাড়ে সাত কোটি ভোটার এখনও তাদের স্মার্ট কার্ড হাতে পাননি। আপনি আপনার স্মার্ট কার্ড প্রস্তুত কিনা বা কখন পাবেন তা অনলাইনে চেক করতে পারবেন। যদি স্মার্ট কার্ড প্রস্তুত হয়ে থাকে, তাহলে আপনি সেটি অনলাইনে ডাউনলোডও করতে পারেন।

স্মার্ট কার্ড চেক করার পদ্ধতি:

  1. অনলাইনে এনআইডি পোর্টাল প্রবেশ করুন:
  • বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট এ যান।
  1. স্মার্ট কার্ড স্ট্যাটাস চেক করুন:
  • সাইটের নির্ধারিত অংশে গিয়ে আপনার এনআইডি নম্বর দিয়ে স্মার্ট কার্ডের স্ট্যাটাস যাচাই করুন।
  1. ডাউনলোড অপশন:
  • যদি স্মার্ট কার্ড প্রস্তুত থাকে, তাহলে অনলাইনে ডাউনলোড করার অপশন থাকবে।

এভাবে আপনি সহজেই আপনার স্মার্ট কার্ডের তথ্য জানতে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button